কুয়াশা ঘেরা সকাল শীতের আমেজ পরিষায়ী পাখিদের ভীড় বলদবাঁধে

24th November 2020 2:47 pm হুগলী
কুয়াশা ঘেরা সকাল শীতের আমেজ পরিষায়ী পাখিদের ভীড় বলদবাঁধে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  পরিযায়ী পাখির কলরবে ঘুম ভাঙে এলাকাবাসীর। জানান দেয় শীত আসছে। সারাদিন জলে খেলা আর পাখিদের কলরবে এলাকায় এক অন্য এক অনুভূতি এনে দেয় গ্রামবাসীদের। শীতের পাখি এলাকা বাসিন্দাদের কাছে সম্পদ। শীতের মরসুমে এই পরিযায়ী পাখিদের দেখতে ভীড় জমায় জেলার উৎসাহী মানুষজন। পরিযায়ী পাখিদের দেখা মিলবে হুগলীর হরিপালের কৈকালা গ্রাম পঞ্চায়েতের বলদবাঁধ গ্রামে। গ্রামে রয়েছে আটটি বড় জলাশয়। জলাশয়ে হয় মাছ চাষ। বছরের শীতের মরসুমে সাইবেরিয়ান বার্ড এসে ভীড় জমায় জলাশয়ে। তবে এইবছর লকডাউনের সময় চৈত্রের গরমেও দুষণ কম থাকার কারণে পরীযায়ী পাখির দেখা মিলেছিল এই জলাশয়ে। তবে এইবছর ঠাণ্ডার আমেজ পড়তেই  প্রচুর পাখি আসতে শুরু করেছে বলে মত গ্রামবাসীদের। মূলত এই পাখিগুলো লেসার, হুইসিলিং ডাক  নামে পরিচিত। প্রত্যেক বছর শীত পড়তেই এরা জমায়েত হয় জলাশয়ে। পরিযায়ী পাখিদের রক্ষা করতে গ্রামবাসীরা একত্রে মিলে রক্ষনাবেক্ষন করেন। শীতের মরসুমে এলাকায় ডিজে অথবা বক্স বাজিয়ে পিকনিক করা বন্ধ। সর্বদাই কড়া নজরদারি রয়েছে।  বন্দুকবাজ পাখি শিকারিদের হাত থেকে পাখিদের রক্ষা করা । বর্তমানে এই এলাকায় সমস্ত পিকনিক বন্ধ করে দিয়েছে গ্রামবাসীরা।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।