সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : পরিযায়ী পাখির কলরবে ঘুম ভাঙে এলাকাবাসীর। জানান দেয় শীত আসছে। সারাদিন জলে খেলা আর পাখিদের কলরবে এলাকায় এক অন্য এক অনুভূতি এনে দেয় গ্রামবাসীদের। শীতের পাখি এলাকা বাসিন্দাদের কাছে সম্পদ। শীতের মরসুমে এই পরিযায়ী পাখিদের দেখতে ভীড় জমায় জেলার উৎসাহী মানুষজন। পরিযায়ী পাখিদের দেখা মিলবে হুগলীর হরিপালের কৈকালা গ্রাম পঞ্চায়েতের বলদবাঁধ গ্রামে। গ্রামে রয়েছে আটটি বড় জলাশয়। জলাশয়ে হয় মাছ চাষ। বছরের শীতের মরসুমে সাইবেরিয়ান বার্ড এসে ভীড় জমায় জলাশয়ে। তবে এইবছর লকডাউনের সময় চৈত্রের গরমেও দুষণ কম থাকার কারণে পরীযায়ী পাখির দেখা মিলেছিল এই জলাশয়ে। তবে এইবছর ঠাণ্ডার আমেজ পড়তেই প্রচুর পাখি আসতে শুরু করেছে বলে মত গ্রামবাসীদের। মূলত এই পাখিগুলো লেসার, হুইসিলিং ডাক নামে পরিচিত। প্রত্যেক বছর শীত পড়তেই এরা জমায়েত হয় জলাশয়ে। পরিযায়ী পাখিদের রক্ষা করতে গ্রামবাসীরা একত্রে মিলে রক্ষনাবেক্ষন করেন। শীতের মরসুমে এলাকায় ডিজে অথবা বক্স বাজিয়ে পিকনিক করা বন্ধ। সর্বদাই কড়া নজরদারি রয়েছে। বন্দুকবাজ পাখি শিকারিদের হাত থেকে পাখিদের রক্ষা করা । বর্তমানে এই এলাকায় সমস্ত পিকনিক বন্ধ করে দিয়েছে গ্রামবাসীরা।